প্রতিবন্ধীদের সুযোগ সুবিধা পর্ব ৫ সরকারী বাসে প্রতিবন্ধীদের সুযোগ সুবিধা

প্রিয় পাঠক প্রতিবন্ধী ইনফো ডট নেট এর পক্ষ থেকে আন্তরিক সালাম ও ভালবাসা গ্রহণ করবেন। আমাদের আজকের আলোচ্য বিষয় হল: প্রতিবন্ধী সেবা ও সহায়তা কেন্দ্র কি কি সেবা দেয় সে সম্পর্কে। বাংলাদেশ সরকারের তথ্য অনুযায়ি দেশে প্রতিবন্ধীদের সংখ্যা ৪৬ লাখের বেশি।
এই বিরাট জনসংখ্যার বেশিরভাগই দারিদ্র সিমার নিচে বসবাস করে। তাই তাদের পক্ষে স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও মানসিক সুরক্ষার জন্য অর্থ ব্যয় করা সম্ভব হয় না। বাংলাদেশ সরকার বরাবরই প্রতিবন্ধীদের প্রতি অত্যান্ত সহানুভুতিশীল। তাই বাংলাদেশ সরকার জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছে।
এই ফাউন্ডেশনের প্রথানতম কাজ হল। প্রতিবন্ধীদের সব ধরণের সাহায্য সহযোগিতা এবং স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা। তারই ধারাবাহিকতায় প্রান্তিক পর্যায়ের প্রতিবন্ধী নারী পুরুষদের কাছে, জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের সকল সেবা পৌছে দেবার লক্ষ্য, জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন দেশব্যাপি জেলা পর্যায়ে প্রতিবন্ধী সেবা ও সহায়তা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছে।
দেশের প্রান্তিক পর্যায়ের প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীকে প্রতিবন্ধী সেবা ও সহায়তা কেন্দ্র, বিভিন্য সেবা প্রদান করে আসছে। আপনি নিজে যদি প্রতিবন্ধী হন। কিংবা আপনার পরিবারে যদি এক বা একাধিক প্রতিবন্ধী সদস্য থেকে থাকেন, তবে প্রতিবন্ধী সেবা ও সহায়তা কেন্দ্রের সকল সুযোগ সুবিধা সম্পর্কে আপনার মৌলিক ধারণা থাকাটা দরকার।
আপনারা জানলে হয়ত অবাক হবেন, বাংলাদেশ সরকার এবং বিভিন্য বেসরকারি প্রতিষ্ঠান প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে বিভিন্য সেবা ও সাহায্য সহযোগীতা দিয়ে থাকে। কিন্তু কোন প্রতিষ্ঠান কখন কি সেবা দিচ্ছে সে তথ্য না জানার কারণে অনেক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিগন উক্ত সেবা ও সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
তাই প্রতিবন্ধীদের কাছে প্রতিবন্ধীদের প্রয়োজনীয় সকল তথ্য সময় মত পৌছে দেয়ার লক্ষ্যেই প্রতিবন্ধী ইনফো ডট নেট কাজ করে আসছে। আমাদের দেশে, প্রচুর কন্টেন্ট ক্রিয়েটর আছেন। যারা বিভিন্য বিষয়ে কন্টেন্ট তৈরী করছেন। বিভিন্য বিষয়ে ওয়েবসাইট বানিয়ে ইন্টারনেট ভিত্তিক তথ্য জগৎকে আরও সমৃদ্ধ করছেন।
কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, বাংলাদেশে প্রতিবন্ধীতা সম্পর্কিত ওয়েবসাইট বা ইন্টারনেট ভিত্তিক তথ্য কেন্দ্রের বড়ই অভাব। যার ফলে সকল প্রতিবন্ধীদের কাছে সময় মত সকল তথ্য পৌছায় না। আমাদের উচিত প্রতিবন্ধীদের জন্য আরও বেশি কাজ করা। প্রতিবন্ধীদের তথ্য প্রাপ্তির জন্য নতুন নতুন প্লাটফর্ম সৃষ্ট্রি করা। যাতে করে প্রতিবন্ধীরা সকল তথ্য সময় মত পেতে পারে।
প্রতিবন্ধী সেবা ও সহায়তা কেন্দ্রের সুযোগ সুবিধা
প্রিয় পাঠক পাঠিকাবৃন্দ এবার আমাদের আলোচনার মূল বিষয়ে পদার্পন করছি। জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান বা অধিনস্থ্য প্রতিষ্ঠান হল, প্রতিবন্ধী সেবা ও সহায়তা কেন্দ্র। জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশের বাজধানী ঢাকাতে অবস্থিত।
তাই জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের পক্ষে তো সারা বাংলাদেশের প্রান্তিক পর্যায়ের প্রতিবন্ধীদের কাছে সকল সেবা পৌছে দেয়া সম্ভব নয়। তাই দেশের প্রান্তিক পর্যায়ের সকল প্রতিবন্ধীদের কাছে প্রয়োজনীয় সকল সেবা ও সহায়তা পৌছে দেয়ার জন্যই প্রতিবন্ধী সেবা ও সহায়তা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
নিচে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি। প্রতিবন্ধী সেবা সহায়তা কেন্দ্র কি, কি সুযোগ সুবিধা প্রদান করে।
যদিও বাংলাদেশ সরকারের দেয়া প্রতিবন্ধীদের জন্য সকল সুযোগ সুবিধা, প্রতিবন্ধী সেবা ও সহায়তা কেন্দ্র থেকেই দেয়া হয় এমনটা কিন্তু নয়। বাংলাদেশ সরকারের দেয়া প্রতিবন্ধীদের জন্য কিছু সুযোগ সুবিধা সমাজসেবা অধিদপ্তর প্রদান করে। এবং আরও কিছু সুযোগ সুবিধা অন্যান্য কিছু প্রতিষ্ঠান প্রদান করে।
সরকারের দেয়া কোন সুযোগ সুবিধা কোন প্রতিষ্ঠান প্রদান করে সে সম্পর্কে অন্য একটি পোস্টে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। প্রতিবন্ধী সেবা ও সহায়তা কেন্দ্রে দেয়া সুযোগ সুবিধাগুলি নিচে পয়েন্ট আকারে বর্ণনা করা হল।
- প্রতিবন্ধীতার ধরণ সনাক্তকরণ।
- কাউন্সিলিং।
- পক্ষাঘাতগ্রস্থদের থ্যারাপি সেবা।
- ফিজিওথ্যারাপি সেবা।
- অকুপেশনাল থেরাপি।
- অটিজম বিষয়ক সেবা।
- স্পিচ এ্যন্ড ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপি।
- শ্রবণ মাত্র নিরিক্ষা।
- দৃষ্টিশক্তির ত্বিক্ষতা পরিক্ষা।
- পুনর্বাসন সেবা।
- সচেতনতা কার্যক্রম।
- সহায়ক উপকরণ প্রদান।
- মোবাইল থেরাপি ভ্যান পরিচালনা কার্যক্রম।
- রেফারেন্স সার্ভিস।
- প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ ও সংরক্ষন।
প্রিয় পাঠক পাঠিকাবৃন্দ। প্রতিবন্ধী সেবা ও সহায়তা কেন্দ্র কি কি সেবা ও সুযোগ সুবিধা প্রদান করে তার একটি তালিকা উপরে বর্ণনা করা হয়েছে। এবার আমরা আলোচনা করব কোন সেবা বা সুযোগ সুবিধা কিভাবে পাওয়া যায়। এবং কোন সেবা বা সুযোগ সুবিধা পেতে আপনার কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন হবে।
কোন সেবা বা সুযোগ সুবিধা পেতে প্রতিবন্ধী সেবা ও সহায়তা কেন্দ্রের কত নং কক্ষে যেতে হবে। কোন কর্মকর্তা কর্মচারীর কাছে যেতে হবে ইত্যাদি।
১, প্রতিবন্ধীতার ধরণ সনাক্তকরণ।
আপনি যদি প্রতিবন্ধীতার ধরণ নির্ণয় সেবাটি গ্রহণ করতে চান তবে আপনাকে প্রতিবন্ধী সেবা ও সহায়তা কেন্দ্রের ২ নং কক্ষে যেতে হবে। সেখানে দায়িক্তরত কর্মকর্তা আপনাকে পরিক্ষা নিরিক্ষা করবেন। এবং আপনি কোন ধরণের প্রতিবন্ধী তিনি তা সনাক্ত করবেন।
এই সেবা পাবার জন্য সময় লাগবে ৩০-৪০ মিনিট। সেবাটি গ্রহনের জন্য আপনার কিছু কাগজপত্রের প্রয়োজন হবে যেমন, ২ কপি পার্সপোর্ট সাইজের ছবি। জন্ম নিবন্ধন সনদ কিংবা জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি।
২, কাউন্সিলিং।
বিভিন্য সময়ে প্রতিবন্ধীদের কাউন্সিলিং সেবা গ্রহণের প্রয়োজন হয়। আপনি যদি কাউন্সিলিং সেবাটি গ্রহণ করতে চান। কিংবা আপনার পরিবারের প্রতিবন্ধী সদসদ্যের কাউন্সিলিং সেবা গ্রহণের দরকার হয় তবে। আপনি চলে যাবেন প্রতিবন্ধী সেবা ও সহায়তা কেন্দ্রের ২ নং কক্ষে।
সেখানে দায়িক্তরত কর্মকর্তার নিকট থেকে আপনি কাউন্সিলিং সেবাটি গ্রহণ করতে পারবেন। কাউন্সিলিং সেবা গ্রহণের জন্য আপনার সময় লাগবে ৩০ থেকে ৪০ মিটিন। কাউন্সিলিং সেবা গ্রহনের জন্য কিছু কাগজপত্র সাথে নিয়ে যেতে হবে। আর তা হল: আপনার ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি, আপনার জন্ম নিবন্ধন সদন কিংবা জাতীয় পরিচয়পত্রের অনুলিপি।
৩, পক্ষাঘাতগ্রস্থদের থ্যারাপি সেবা।
বাংলাদেশে পক্ষাঘাত গ্রস্থতার সংখ্যা আশংখ্যা জনক ভাবে বেরে চলেছে। আমাদের খাদ্যাভ্যাস এবং আর্থ সামাজিক অবস্থার কারণে এত বেশি পক্ষাঘাত ঘটছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। তাই পক্ষাঘাতে প্রতিবন্ধীতার সংখ্যাও লাফিয়ে লাফিয়ে বেরে চলেছে।
প্রতিবন্ধী সেবা ও সহায়তা কেন্দ্র পক্ষাঘাত গ্রস্থ্য ব্যক্তিদের সেবা দিয়ে থাকে। এই সেবা পেতে আপনাকে আসতে হবে, প্রতিবন্ধী সেবা ও সহায়তা কেন্দ্রের ৪/৫ নং কক্ষে। সেখানে দায়িক্তরত কর্মকর্তা/কর্মচারী সেবা প্রদান করবেন। সেবা গ্রহণ করতে সময় লাগেব ৫০ থেকে ৬০ মিনিট।
সেবা পেতে কিছু কাগজপত্র সাথে নিয়ে আসতে হবে যেমন, পাসপোর্ট সাইজের ২ কপি ছবি। জন্ম নিবন্ধন সনদ কিংবা জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি।
৪, ফিজিওথ্যারাপি সেবা।
আপনি যদি প্রতিবন্ধী সেবা ও সহায়তা কেন্দ্র থেকে ফিজিও থেরাপি সেবা গ্রহণ করতে চান। তবে আপনাকে আসতে হবে প্রতিবন্ধী সেবা ও সহায়তা কেন্দ্রের ৪/৫ নং কক্ষে। সেখানে ফিজিও থেরাপি সেবা দানকারী কর্মকর্তা/কর্মচারী আপনাকে ফিজিও থেরাপি সেবা প্রদান করবেন।
সেবা গ্রহণ করতে সময় লাগবে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট। সেবা গ্রহণ করতে আপনাকে কিছু কাগজপত্র সাথে আনতে হবে। যেমন: ২ কপি পার্সপোর্ট সাইজের ছবি, জন্ম নিবন্ধন সনদ, জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি।
৫, অকুপেশনাল থেরাপি।
যদি আপনি অকুপেশনাল থেরাপি সেবা গ্রহণ করতে চান। তবে প্রতিবন্ধী সেবা ও সহায়তা কেন্দ্রের ৬ নং কক্ষে আসতে হবে। সেখানে কর্তব্যরত থেরাপিস্ট, আপনাকে সেবা প্রদান করবেন। সেবা গ্রহণ করতে সময় লাগবে ৩০-৪০ মিনিট। সেবা গ্রহণ করতে আপনাকে কিছু কাগজপত্র সাথে আনতে হবে।
যেমন: আপনার জন্ম নিবন্ধন সদদের ফটোকপি, ২ কপি পার্সপোর্ট সাইজের ছবি, যদি জাতীয় পরিচয়পত্র থাকে তবে জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি আনবেন।
৬, অটিজম বিষয়ক সেবা।
আপনি যদি অটিস্টিক হন, কিংবা আপনার পরিবারে যদি কোন অটিস্টিক সদস্য থাকে। তবে আপনি প্রতিবন্ধী সেবা ও সহায়তা কেন্দ্র থেকে অসিস্টিক সংক্রান্ত সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। অটিস্টিক সংক্রান্ত সেবা পেতে আপনাকে আসতে হবে প্রতিবন্ধী সেবা ও সহায়তা কেন্দ্রের ৭ নং কক্ষে।
যেখানে কর্তব্যরত কর্মকর্তা/কর্মচারী, অটিজম বিষয়ক সেবা প্রদান করবেন। সেবা পেতে সময় লাগবে ৩০-৪০ মিনিট। সেবা পেতে সেবা গ্রহিতার কিছু কাগজপত্র সাথে আনতে হবে। যেমন: সেবা গ্রহিতার জন্ম নিবন্ধন কিংবা জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি, ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
৭, স্পিচ এ্যন্ড ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপি।
স্পিচ এ্যন্ড ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপি গ্রহণ করতে চাইলে চলে আসতে হবে প্রতিবন্ধী সেবা ও সহায়তা কেন্দ্রের ৬ নং কক্ষে। সেখানে কর্তব্যরত থেরাপিস্ট সেবা গ্রহিতাকে সেবা প্রদান করবেন। সেবা গ্রহণ করতে সময় লাগবে ২০-৩০ মিনিট। সেবা গ্রহণ করতে সেবা গ্রহিতার কিছু কাগজপত্র সাথে আনতে হবে।
যেমন: সেবা গ্রহিতার জন্ম নিবন্ধন সনদের ফটোকপি, যদি জাতীয় পরিচয়পত্র থাকে তবে জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি আনতে হবে। এছাড়াও সেবা গ্রহিতার ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবিও সাথে আনতে হবে।
৮, শ্রবণ মাত্র নিরিক্ষা।
বিভিন্য কারণে আমাদের শ্রবণ মাত্রা নির্ণয় করার প্রয়োজন হয়। আপনি চাইলে খুব সহজে প্রতিবন্ধী সেবা ও সহায়তা কেন্দ্র থেকে শ্রবণমাত্র নির্ণয় সংক্রান্ত সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। এজন্য আপনাকে আসতে হবে প্রতিবন্ধী সেবা ও সহায়তা কেন্দ্রের ৬ নং কক্ষে।
সেখানে দায়িক্তরত কর্মকর্তা/কর্মচারী আপনার শ্রবণশক্তি পরিক্ষা করে শ্রবণমাত্র নির্ণয় করে দেবেন। এই সেবা গ্রহণ করতে সময় লাগেব ৩০-৪০ মিনিট। শ্রবণ মাত্র নির্ণয় সেবা গ্রহণ করতে সেবা গৃহিতাকে কিছু কাগজপত্র নিজের সাথে আনতে হবে। যেমন: সেবা গ্রহিতার জন্ম নিবন্ধন সনদ বা জাতীয় পরিচয়পত্রের অনুলিপি, ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
৯, দৃষ্টিশক্তির ত্বিক্ষতা পরিক্ষা।
আপনি যদি দৃষ্টিশক্তির ত্বিক্ষতা পরিক্ষা করতে চান। তবে প্রতিবন্ধী সেবা ও সহায়তা কেন্দ্র থেকে খুব সহজেই এই সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। এজন্য আপনাকে আসতে হবে প্রতিবন্ধী সেবা ও সহায়তা কেন্দ্রের ৬ নং কক্ষে। সেখানে কর্তব্যরত টেকটিশিয়ার আপনার চোখ পরিক্ষা করে আপনার দৃষ্ট্রি শক্তির ত্বিক্ষèতা নির্ণয় করবেন।
এই সেবা গ্রহণ করতে সেবা গৃহিতাকে কিছু কাগজপত্র সাথে আনতে হবে। যেমন: সেবা গ্রহিতার জাতীয় পরিচয়পত্র/জন্ম নিবন্ধন সনদের ফটোকপি, ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
১০, পুনর্বাসন সেবা।
আপনি যদি সরকার কর্তৃক পুনর্বাসিত হতে চান তবে। আপনাকে প্রতিবন্ধী সেবা ও সহায়তা কেন্দ্রের ১ নং কক্ষে আসতে হবে। সেখানে প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকর্তা বসেন। তার সাথে দেখা করে তাকে আপনার প্রয়োজনের কথা চানাতে হবে। প্রতিবন্ধী পুনর্বাসন কার্যক্রম একটি চলমান প্রকৃয়া।
আপনার জেলাতে যদি প্রতিবন্ধীদের পুনর্বাসন প্রকল্প চলমান থাকে। তবে প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকর্তা আপনাকে পুনর্বাসিত করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
১১, সচেতনতা কার্যক্রম।
প্রতিবন্ধীদের প্রতি পরিবার ও সমাজের দৃষ্ট্রিভঙ্গি পরিবর্তন করতে, প্রতিবন্ধী সেবা ও সহায়তা কেন্দ্র কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। পরিবার যাতে করে প্রতিবন্ধী সদস্যের প্রতি দৃষ্ট্রিভঙ্গি পরিবর্তন করে, এবং প্রতিবন্ধী সদস্যের প্রতি মানবিক ও দায়িক্তশীল আচরণ করে এ লক্ষ্যে প্রতিবন্ধী সেবা ও সহায়তা কেন্দ্র কাজ করে থাকে।
১২, সহায়ক উপকরণ প্রদান।
বাংলাদেশ সরকার প্রতিবন্ধী সেবা ও সহায়তা কেন্দ্রের মাধ্যমে প্রতিবন্ধীদের বিভিন্য সহায়ক উপকরণ প্রদান করে যেমন: শারীরিক প্রতিবন্ধীদের ক্রাচ, হুইল চেয়ার, দৃষ্ট্রি প্রতিবন্ধীদের জন্য স্মার্ট সাদাছড়ি, শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের জন্য হেয়ারিং এইড মেশিন ইত্যাদি প্রদান করে। আপনি চাইলে প্রতিবন্ধী সেবা ও সহায়তা কেন্দ্র থেকে আপনার প্রয়োজনীয় সহায়ক উপকরণটি সম্পুর্ণ বিনামুল্যে গ্রহণ করতে পারবেন।
আপনি যদি প্রতিবন্ধী সেবা ও সহায়তা কেন্দ্র থেকে সহায়ক উপকরণ গ্রহণ করতে চান। তবে আপনাকে চলে আসতে হবে আপনার জেলার প্রতিবন্ধী সেবা ও সহায়তা কেন্দ্রের ১ নং কক্ষে। এখানে প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকর্তা বসেন। তাকে জানবেন আপনি সহায়ক উপকরণ গ্রহণ করতে চান। প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকর্তা বরাদ্দ প্রাপ্তি সাপেক্ষে আপনাকে সহায়ক উপকরণ প্রদান করবেন।
সহায়ক উপরকণ গ্রহণ করতে সেবা গৃহিতাকে কিছু কাগজপত্র নিজের সাথে আনতে হবে। যেমন: সেবা গৃহিতার জন্ম নিবন্ধন সনদের ফটোকপি/জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি। চিকিৎসা ব্যবস্থাপত্রের কপি, প্রতিবন্ধী পরিচয়পত্রের ফটোকপি, সেবা গৃহিতার ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি। শারীরিক প্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রে ১ কপি ফুল ছবি।
১৩, মোবাইল থেরাপি ভ্যান পরিচালনা কার্যক্রম।
জন সাধারণের দোড় গোড়ায় থেরাপি সেবা পৌছে দেয়ার লক্ষ্যে প্রতিবন্ধী সেবা ও সহায়তা কেন্দ্র ভ্যাম্যমান থেরাপি ভ্যান পরিচালনা করে। এই থেরাপি ভ্যান কর্ম এলাকায় বিনামুল্যে থেরাপি সেবা প্রদান করে।
১৪, রেফারেন্স সার্ভিস।
বিভিন্য কারণে প্রতিবন্ধীদের রেফারেন্সের দরকার হয়। আপনি যদি রেফারেন্স সেবা গ্রহণ করতে চান, তবে আপনাকে প্রতিবন্ধী সেবা ও সহায়তা কেন্দ্রের ২ নং কক্ষে আসতে হবে। সেখানে কর্তব্যরত কর্মকর্তা/কর্মচারী আপনাকে রেফারেন্স সেবা প্রদান করবেন। রেফারেন্স সেবা পেতে সময় লাগবে ২০-৩০ মিনিট।
সেবা গ্রহণ করতে সেবা গ্রহিতাকে কিছু কাগজপত্র সাথে আনতে হবে। যেমন: সেবা গ্রহিতার জন্ম নিবন্ধন সনদের ফটোকপি/জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি, ২ কপি পার্সপোর্ট সাইজের ছবি।
১৫, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ ও সংরক্ষন।
প্রতিবন্ধী সেবা ও সহায়তা কেন্দ্র দেশের প্রাপ্তিক পর্যায়ের প্রতিবন্ধীদের তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে, এবং বিভিন্য উন্নয়নমূলক প্রকল্পে এসকল তথ্য উপাত্ত ব্যবহার করা হয়।
প্রিয় পাঠক পাঠিকাবৃন্দ, এই ছিল প্রতিবন্ধী সেবা ও সহায়তা কেন্দ্র কি কি সেবা দেয় সে সংক্রান্ত আলোচনা। এই পোস্টটি আপনার কেমন লাগল তা অবশ্যই কমেন্ট করে আমাদের জানাবেন। আপনি আর কোন বিষয়ে জানতে চান তাও কমেন্ট করে জানাতে পারেন।
আমরা সব সময় চেষ্টা করি আপনাদের চাহিদা অনুযায়ি কন্টেন্ট প্রকাশ করার। প্রতিবন্ধীতা সংক্রান্ত সর্বশেষ আপডেট সবার আগে জানতে নিয়মিত চোখ রাখুন প্রতিবন্ধী ইনফো ডট নেট এ। সকলে ভাল থাকবেন লেখাটি পড়ার জন্য সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।