প্রতিবন্ধীদের সুযোগ সুবিধা

জেনে নিন ভাল অন্ধ মাদ্রাসা কোথায় আছে

প্রিয় পাঠক প্রতিবন্ধী ইনফো ডট নেট ওয়েবসাইটের নতুন কন্টেন্টে আপনাকে জানাই সাদর সম্ভাষন। আজ আমরা একটি গুরুত্বপুর্ণ বিষয়ে আলোচনা করব। অনেক দৃষ্ট্রি প্রতিবন্ধী আমার কাছে জানতে চেয়েছেন, ভাল অন্ধ মাদ্রাসা কোথায় আছে। আপনাদের এই প্রশ্নের উত্তর দেবার চেষ্টা করব আজকেই এই পোস্টে।

বাংলাদেশ ধর্মভিরু দেশ হবার কারণে এদেশের মানুষ কোরআন শিক্ষার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে থাকে। তাই অনেক পিতা মাতা চায়, তার সন্তানটি কোরআন শিক্ষা করুন, কোরআনের হাজের হোক। বাংলাদেশে দৃষ্ট্রি প্রতিবন্ধীদের মধ্যে কোরআনের হাফেজ হবার প্রবনতা আছে। তাই চাহিদার সাথে তাল মিলিয়ে সারা বাংলাদেশে অসংখ্য অন্ধ হাফেজিয়া মাদ্রাসা গড়ে উঠেছে।

অন্ধ হাফেজিয়া মাদ্রাসা কি

প্রিয় পাঠক আসুন এবার আলোচনা করি অন্ধ হাফেজিয়া মাদ্রাসা বলতে আসলে কি বোঝায় সে সম্পর্কে। হাফেজিয়া মাদ্রাসা হল এমন মাদ্রাসা যেখানে শিক্ষার্থীরা কোরআনের হাফেজ হয়ে থাকে।

কোরআনের হাফেজ কাকে বলে?। কোরআনের হাজেল বলতে কোরআন মুখস্থ করাকে বোঝায়, অর্থ্যাৎ যে কোরআন মুখস্থ করে তাকে কোরআনের হাফেজ বলে। এবার প্রশ্ন হল, অন্ধ হাফেজিয়া মাদ্রাসা বলতে কি বোঝায়। অন্ধ হাফেজিয়া মাদ্রাসায় অন্ধ শিক্ষার্থীরা কোরআনের হাফেজ হয়ে থাকে।

আমরা আগেই বলেছি সারা দেশে অনেক অন্ধ হাফেজিয়া মাদ্রাসা গড়ে উঠেছে। এসকল মাদ্রাসার লেখাপড়ার মান এবং খাবারের মান সমান নয়। কিছু মাদ্রাসায় লেখাপড়ার ও খাবারের মান ভাল, আবার কিছু মাদ্রাসায় লেখাপড়া ও খাবারের মান ভাল নয়।

ভাল অন্ধ হাফেজিয়া মাদ্রাসা কোথায় আছে

এবার আসুন আমরা আলোচনা করি ভাল মানের অন্ধ হাফেজিয়া মাদ্রাসা কোথায় আছে। যেখানে লেখাপড়া ও খাবারের মান ভাল এবং ভাল আবাসন সুবিধা আছে। এমন একটি মাদ্রাসা সম্পর্কে এবার আলোচনা করব। এই মাদ্রাসার নাম হল ষশোর অন্ধ হাফেজিয়া মাদ্রাসা।

এখানে দৃষ্ট্রি প্রতিবন্ধীদের জন্য সম্পুর্ণ বিনামুল্যে থাকা খাওয়া এবং লেখাপড়ার ব্যবস্থা আছে। আপনি যদি একজন দৃষ্ট্রি প্রতিবন্ধী ব্যক্তি হন, কিংবা আপনার পরিবারে কোন দৃষ্ট্রি প্রতিবন্ধী সদস্য থাকে। তবে তাকে এখানে ভর্তি করতে পারবেন। এখানে দৃষ্ট্রি প্রতিবন্ধীদের ব্রেইল পদ্ধতির মাধ্যমে কোরআন শিক্ষা দেয়া হয়।

খাবারের মান কেমন

এখানে বেশ ভাল মানের খাবার দেয়া হয়। যেমন: সকালের খাবারে সাদা ভাতের সাথে সবজির তরকারী বা ভাজি দেয়া হয়। কোন কোন দিন খিচুরি ভাতও দেয়া হয়। দুপুরের খাবার হিসেবে দেয়া হয়, সাদা ভাতের সাথে গরু বা খাসির মাংশ। কোন দিন সাদা ভাতের সাথে ডাল বা সবজির তরকারী দেয়া হয়।

রাতের খাবারে দেয়া হয়, সাদা ভাতের সাথে পাতলা ডাল বা ঘন্ট। তবে এসকল মাদ্রাসায় বেশিরভাগ দিন বাইরে থেকে খাবার আসে। কারও পিতা মাতা বা আত্বিয়স্বজন মারা গেলে কুলখানির অনুষ্ঠান হয়। সেই অনুষ্ঠানে গরীব অসহায়দের খাওয়ানো হয়। অনেক পরিবার আছে যারা কুলখানির অনুষ্ঠানের খাবার মাদ্রাসায় দিয়ে দেয়।

এটি অন্ধ মাদ্রাসা হবার কারণে এখানে প্রচুর পরিমানে বাইরের খাবার আসে। সে খাবারের মান অনেক ভাল, যেমন বিরিয়ানি বা খিচুরি ভাতের সাথে মাংশ দেয়া হয়। সপ্তাহে তিন চার দিন তো বাইরের খাবার থাকেই। তাই অন্ধ মাদ্রাসার ছাত্ররা খুব ভাল মানের খাবার খেতে পারে।

এখানে ভর্তি হবেন কিভাবে

এই অন্ধ মাদ্রাসায় বছরের যে কোন সময় ভর্তি হওয়া যায়। আপনি যদি এখানে ভতি হতে চান, তবে আপনার জন্ম নিবন্ধন/জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি নিয়ে চলে আসবেন। প্রথান শিক্ষকের সাথে দেয়া করে তাকে জানাবেন আপনি ভর্তি হতে আগ্রহী। তিনি আপনাকে ভর্তির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করবেন।

এখানে ভর্তি হবার কোন নির্দিষ্ট বয়স সিমা নেই, যে কোন বয়সে ভর্তি হওয়া যায়।

যোগাযোগ

ষশোর অন্ধ হাফেজিয়া মাদ্রাসার সাথে আপনি চাইলে মোবাইলের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারবেন। নিচে ষশোর অন্ধ মাদ্রাসার একটি মোবাইল নাম্বার দেয়া হল। এটি মাদ্রাসার মহতামিমের নাম্বার। তাই এখানে ফোন করে কথা বলে মাদ্রাসায় এসে ভর্তি হতে পারবেন। মোবাইল নাম্বার হল: ০১৭৫৩ ৭০০৬২০।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button