বিধবা ভাতা কবে দেবে ২০২৫ জেনে নিন

প্রিয় পাঠক আমাদের ওয়েবসাইটের নতুন একটি পোস্টে আপনাকে জানাই সারদ সম্ভাষন। আজ আমরা আলোচনা করব বিধবা ভাতা কবে দেবে সে সম্পর্কে। বাংলাদেশ সরকার বিধবা নারীদের পারিবারিক ও সামাজিক সর্যদা বৃদ্ধি ও আর্থীক নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে বিধবা নারীদের মাসিক ভাতা প্রদান করে। এই পোস্টে আমরা আলোচনা করব ২০২৪ সালের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর এই তিন মাসের বিধবা ভাতার টাকা কবে দেবে সেই সম্পর্কে।
আপনি কিংবা আপনার পরিবারের কোন সদস্য যদি বিধবা ভাতা পেয়ে থাকে তবে এই পোস্টটি অবশ্যই সম্পুর্ণ পড়বেন। এই পোস্টটি পড়লে আপনি জানতে পারবেন ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের দ্বিতীয় কিস্তির বিধবা ভাতার টাকা কবে আসবে, বিধবা ভাতা কত টাকা, বিধবা ভাতা কবে থেকে শুরু হয় ইত্যাদি, তাই সকল পাঠকের কাছে বিণিত অনুরোধ করছি সবাই এই লেখাটি মনযোগ দিয়ে পড়বেন।
বিধবা ভাতা কি
বিধবা ভাতা হল বাংলাদেম সরকার কর্তৃক প্রদপ্ত একটি ভাতা যা বিধবা নারীদের মাঝে প্রদান করা হয়। বাংলাদেশ একটি দরিদ্র ও পুরুষত্রান্তিক দেশ। এই দেশে পুরুষরাই পরিবারের আর্থীক চাহিদা পুরণ করে, তবে কিছু পরিবার আছে যেখানে পুরুষ এবং নারী উভয়ই কাজ করে এমন পরিবারের সংখ্যা খুবই কম। এখনও বাংলাদেশের বেশিরভাগ পরিবারের আর্থীক কর্ত হল পুরুষ। তাই একটি পরিবারের পুরুষ সদদ্যের যদি অকাল মৃত্যু হয় তবে সেই পরিবারটি আর্থীক ও মাসাকি ভাবে অনিরাপদ হয়ে পড়ে। এমন পরিবারকে আর্থীক সুরক্ষা দিতে বাংলাদেশ সরকার বিধবা ভাতা কর্মসূচী চালু করেছে।
সরকারের চায় বিধবা ভাতা কর্মসূচীর মাধ্যমে দেশের বিধবা নারীদের মাসিক ভাতা প্রদান করতে। বিধবা নারীগণ এই ভাতার টাকা দিয়ে নিজের আর্থীক প্রয়োজন মিটিয়ে থাকে। বাংলাদেশের সমাজ ব্যবস্থা এখনও সেকেলে এদেশে বিধবা নারীদের নিতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখা হয়। সমাজের মানুষ পছন্দ করে না।
একজন বিধবা নারী বাড়ীর বাইরে গিয়ে কাজ কর্ম করুন, কিন্তু সমাজের মানুষ এটাও ভাবে না একজন বিধবা নারী বাড়ীর বাইরে গিয়ে যদি কাজ কর্ম না করে তবে সে তার প্রয়োজনীয় টাকা কোথায় পাবে। কেউ তো কোন বিধবা নারীকে টাকা পয়সা দিয়ে সাহায্য করে না, আবার কেউ যদি কোন বিধবা নারীকে টাকা পয়সা দিয়ে সাহায্য করতে আসে তবে সমাজের মানুষ সেই মানুষটিকে নিয়ে নানা রকম কুরুচিকর মন্তব্য করে তাই বিধবা নারীদের পাশে কেউই দাড়ায় না।
বাংলাদেশের আর্থ সামাজিক প্রেক্ষাপটে একজন বিধবা নারীকে সিমাহিন বৈষম্য এবং লাঞ্ছনা সহ্য করতে হয়। বিধবা নারী না পায় তার পিতার বাড়ীতে জায়গা, না পায় তার স্বামীর বাড়ীতে জায়গা। এমত অবস্থায় বাংলাদেম সরকার বিধবা নারীদের প্রতি সহায়তার হাত বাড়ীয়ে দিয়েছে। বাংলাদেশ সরকার বিধবা নারীদের মাসিক ভাতা প্রদানের মাধ্যমে তাদের আর্থীক প্রয়োজন কিছুটা মিটিয়ে থাকে।
বিধবা ভাতা কত টাকা ২০২৫
বাংলাদেশ সরকার বিধবা নারীদের আর্থীক নিরাপত্তা প্রদানের জন্য বিধবা নারীদের মাসিক ভাতা প্রদানের ব্যবস্থা করেছে। বিধবা ভাতা প্রথম শুরু হবার পর ভাতার পরিমাণ ছিল মাসিক ১০০ টাকা যা সময়ের সাথে বাড়তে বাড়তে এখন ২০২৪ সালে ৫৫০ টাকায় উত্তির্ণ হয়েছে। বর্তমান বাজার মুল্যের সাথে তুলনা করলে ৫৫০ টাকায় কিছুই হয় না।
এই বিধবা ভাতার টাকা দিয়ে একজন বিধবা নারী তার দৈনন্দিন অর্থের চাহিদা মিটিয়ে থাকে। কিন্তু প্রতি মাসে সামান্য ৫৫০ টাকায় কি এক মাস চলা যায়? যায় না ৫৫০ টাকা ৩০ দিনের উপর ভাগ করলে দিনে ২০ টাকাও হয় না। এত কম টাকায় কি একজন মহিলা চলতে পারে বাংলাদেশ সরকারের কাছে আমরা বিণিত অনুরোধ জানাই বিধবা ভাতার টাকার পরিমাণ বৃদ্ধি করা হোক। বিধবা ভাতার টাকার পরিমাণ এমন ভাবে বৃদ্ধি করা হোক যা দিয়ে একজন বিধবা নারী একমাস মধ্যবিত্তভাবে চলতে পারে।
বিধবা ভাতা কবে চালু হয়
প্রিয় পাঠক এবার আসুন আলোচনা করি বিধবা ভাতা কর্মসূচী কবে চালু হয় সে সম্পর্কে। বাংলাদেশ সরকার দরিদ্র বিধবা নারীদের আর্থীক নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে ১৯৯৮ সালে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধিনস্থ সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে বিধবা ভাতা কর্মসূচী চালু করে। ১৯৯৮ সালে বিধবা ভাতার সুবিধা ভোগির সংখ্যা ছিল চার লাখ তিন হাজারের কিছু বেশি যা সময়ের সাথে বাড়তে বাড়তে বর্তমানে ২০২৪ সালে ২৫ লাখ ৭৫ হাজার জনে উন্নিত হয়েছে।
বিধবা ভাতার টাকা কবে দেবে
২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের দ্বিতীয় কিস্তির বিধবা ভাতার টাকা কবে দেবে এ সম্পর্কে এবার আলোচনা করা হবে। ২০২৪ সালের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর এই তিন মাসের বিধবা ভাতার টাকা কবে দেয়া হবে তা জানার জন্য আমরা সমাজসেবা অধিদপ্তরের সামাজিক নিরাপত্তা অধিশাখার একজন উচ্চ পদস্থ্য কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করেছিলাম।
তিনি তার নাম প্রকাশ না করার শর্তে আমাদের জানিয়েছেন ২০২৪ সালের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর এই তিন মাসের বিধবা ভাতার টাকা ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসের ১৫ তারিখ থেকে দেয়া শুরু হবে। যা জানুয়ারি মাসের ৩০ তারিখের মধ্যেই শেষ হবে। অর্থ্যৎ জানুয়ারি মাসের ০৬ থেকে ১৭ তারিখের মধ্যেই সকল বিধবা ভাতা ভোগি বিধবা ভাতার টাকা পেয়ে যাবেন। এই টাকা জি টু পি পদ্ধতিতে উপকারভোগিদের বিকাশ ও নগদ অ্যকাউন্ডের মাধ্যমে প্রদান করা হবে।