সুপ্রিয় পাঠক প্রতিবন্ধী ইনফো ডট নেট ওয়েবসাইটের নতুন একটি পোস্টে আপনাকে জানাই সাদর সম্ভাষন। আজ আমরা আলোচনা করব, প্রতিবন্ধী পুনর্বাসন কেন্দ্র কোথায় আছে সে সম্পর্কে। আমরা বিগত কিছু পোস্টে আলোচনা করেছি। বাংলাদেশ সরকারের তথ্য অনুযায়ি বাংলাদেশে প্রতিবন্ধীদের সংখ্যা ৪৬ লাখের বেশি।
তাই বাংলাদেশে অনেক বেসরকারী প্রতিষ্ঠান, প্রতিবন্ধীদের নিয়ে কাজ করে। বাংলাদেশে এখনও এমন অনেক পরিবার আছে, যে পরিবারগুলি তাদের প্রতিবন্ধী সন্তানকে বোঝা মনে করে। অন্য পরিবারের কথা আর কি বলব, আমি প্রতিবন্ধী হবার কারণে আমার নিজের পরিবারই আমাকে বোঝা মনে করে।
আমার পরিবার অন্য সদস্যদের যেভাবে দেখে আমাকে সেভাবে দেখে না। যাই হোক পরিবারে জুলুম অত্যাচারের শিকার হয়ে অনেক প্রতিবন্ধী চায়। কোন পুনর্বাসন কেন্দ্রে গিয়ে শান্তিতে বাচতে।
আপনার পরিবারে যদি কোন প্রতিবন্ধী শিশু বা প্রতিবন্ধী সদস্য থাকে। তবে তার প্রতি বিশেষ য¦ন্তবান হন। আমার ব্যক্তিগত অভিমত হল, প্রতিবন্ধীদের নিজ পরিবারে রাখুন। নিতান্তই যদি প্রতিবন্ধী সদস্যকে কোন পুনর্বাসন কেন্দ্রে রাখার প্রয়োজন হয়। তবে নিচে বর্ণিত পুনর্বাসন কেন্দ্রে রাখতে পারেন।
এখানে থাকতে প্রতিবন্ধীদের কোন টাকা পয়সা দিতে হবে না। এখানে থাকা ও খাওয়া সম্পুর্ণ ফ্রি তাছাড়া বিনামুল্যে লেখাপড়ার ব্যবস্থা তো আছেই। এখানে প্রতিবন্ধীদের জামা কাপর, চিকিৎসার সকল খচর প্রতিষ্ঠান বহন করে।
অনেক পুনর্বাসন কেন্দ্র আছে যেখানে শুধুমাত্র নির্দিষ্ট ক্যাটাগরির প্রতিবন্ধীদেরই রাখে। এখানে শারীরিক, দৃষ্ট্রি, শ্রবণ ও বাক প্রতিবন্ধীদের রাখা হয়। তাই আপনি যদি কাউকে পুনর্বাসন কেন্দ্রে রাখতে চান তবে এখানে রাখতে পারেন।
প্রতিবন্ধী পুনর্বাসন কেন্দ্র
এবার আলোচনার মুল বিষয়ে আসা যাক, এতক্ষন যে প্রতিষ্ঠানটি সম্পর্কে আলোচনা করলাম তার নাম হল মানব কল্যাণ ট্রাস্ট। এটি পাবনা জেলার সিংগা পাইপাস এলাকায় অবস্থিত। এখানে ট্রাস্টের নিজশ্ব জমিতে দৃষ্ট্রি নন্দন আবাসিক ভবন নির্মান করা হয়েছে। পাচ তলা বিশিষ্ট আবাসিক ভবনে প্রতিবন্ধীদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
থাকার জন্য আছে উন্নত পরিবেশ ও মানসম্মত আবাসন সুবিধা। আছে লেখার মাঠ, মসজিদ, জাদুঘর, কম্পিউটার ল্যাব, টেলিফোন অপারেটিং ল্যাব ইত্যাদি। এখানে লেখাপড়ার পাশাপাশি প্রতিবন্ধীরা বিনামুল্যে কম্পিউটার ও টেলিফোন অপারেটিং শিখতে পারে।
খাবারের মান কেমন
মানব কল্যাণ ট্রাস্টে খাবারের মান মোটামোটি ভাল। এখানে সকালের খাবার হিসেবে, সাদা ভাতের সাথে সবজি, ঘন্ট কিংবা খিচুরি ভাত সরবরাহ করা হয়। দুপুরের খাবারে সাদা ভাতের সাথে সবজির তরকারী কিংবা পাতলা ডাল দেয়া হয়। তবে কোন কোন দিন সাদা ভাতের সাথে গরু বা খাসির মাংশের তরকারী থাকে।
রাতের খাবারে সাদা ভাতের সাথে সবজির তরকারী, ঘন্ট বা পাতলা ডাল দেয়া হয়। আপনি হয়ত ভাবছেন এখানে তো খাবারের মান তেমন একটা ভাল না। তবে আপনার জন্য বলছি, এটি একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠান এখানে প্রতিদিন প্রায় দুইশত মানুষের জন্য রান্না হয়। এত মানুষকে মান সম্মত খাবার দিতে বিপুল পরিমাণ টাকার প্রয়োজন। এত টাকা এই প্রতিষ্ঠান কোথায় পাবে?।
এখানে ভর্তি হবেন কিভাবে
এখানে ভর্তি হবার জন্য সরাসরি মানব কল্যাণ ট্রাস্টে আসতে হবে। এখানে আসার পর কিছু কাগজপত্র জমা দিয়ে ভর্তি হওয়া যাবে। যে ভর্তি হতে চায়, তার জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি আর চার কপি ছবি জমা দিয়ে ভর্তি হওয়া যাবে। এখানে ভর্তি হতে কোন টাকা পয়সা দিতে হয় না।
এখানে মাদ্রাসা এবং জেনারেল এই দুই বিভাগেই লেখাপড়া করা যায়। এখানে থেকে অন্য স্কুল বা কলেজে ভর্তি হয়েও পড়াশোনা করার সুযোগ আছে। অন্য প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করলেও লেখাপড়ার খরচ ট্রাস্ট বহন করবে।
যোগাযোগ
মানব কল্যাণ ট্রাস্টের সাথে যোগাযোগ করতে নিচে দেয়া মোবাইল নাম্বারে কল করতে পারেন। নিচে মানব কল্যাণ ট্রাস্টের প্রথান শিক্ষকের নাম্বার দেয়া হল। আপনি যদি এখানে ভর্তি হতে চান, কিংবা আপনার পরিচিত কেউ ভর্তি হতে চায়। তবে আপনি এই নাম্বারে কল করে ভর্তি হবার কথা জানাবেন।
প্রধান শিক্ষক আপনাকে যেদিন আসতে বলবে আপনি সেদিন আসবেন। এখানে আসার আগে প্রধান শিক্ষকের সাথে অবশ্যই যোগাযোগ করে আসতে হবে। অন্যথায় আপনি বিভিদ সমস্যার সম্মুখিন হতে পারেন মোবাইল নাম্বার হল: ০১৭৯৯ ৮৩৩৪০৩।
