প্রতিবন্ধীদের সুযোগ সুবিধা পর্ব ৪ ট্রেন ভমনে প্রতিবন্ধীদের সুযোগ সুবিধা

প্রিয় পাঠক প্রতিবন্ধীদের সুযোগ সুবিধা সিরিজের নতুন একটি পোস্টে আপনাকে জানাই স্বাগতম। আমরা প্রতিবন্ধীদের সুযোগ সুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনার সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছি। তারই ধারাবাহিকতায়, বাংলাদেশ সরকার ও বিভিন্য বেসরকারি প্রতিষ্ঠনের প্রতিবন্ধীদের জন্য দেয়া সুযোগ সুবিধা সম্পর্কে পর্যায়ক্রমে আলোচনা করে যাচ্ছি।
আপনি যদি একজন প্রতিবন্ধী ব্যক্তি হন তবে এসকল সুযোগ সুবিধা সম্পর্কে অবশ্যই আপনার জানা থাকা প্রয়োজন। আপনি যদি না যানেন বাংলাদেশে প্রতিবন্ধীদের কি কি সুযোগ সুবিধা দেয়া হয়। তাহলে আপনি সে সকল সুযোগ সুবিধা গ্রহন করবেন কিভাবে?।
তাই সকল প্রতিবন্ধীদের প্রতি অনুরোধ আপনারা সকলে এই পোস্টটি সম্পুর্ণ পড়বেন এবং এই সিরিজের আগের পোস্টগুলি যদি না পড়ে থাকেন তবে তা পড়ে নেবেন।
নিজে পড়লেই হবে না, অন্য প্রতিবন্ধীদের পড়ার সুযোগ করে দিতে হবে। তাই আপনার পরিচিত সকল প্রতিবন্ধীদের সাথে এই পোস্টটি শেয়ার করবেন।
আমরা তো পর্যায়ক্রমে প্রতিবন্ধীদের সুযোগ সুবিধা সম্পর্কে আলোচনা করছি তাই প্রতিটি পর্বে আলাদা আলাদা বিষয়ে আলোচনা করা হচ্ছে। আমরা এ পর্বে আলোচনা করব ট্রেন যাত্রায় প্রতিবন্ধীদের সুযোগ সুবিধা সম্পর্কে।
ট্রেন ভমনে প্রতিবন্ধীদের সুযোগ সুবিধা
বাংলাদেশ সরাকর প্রতিবন্ধীদের রেল ভ্রমনে বিশেষ সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকে। আপনি যদি একজন প্রতিবন্ধী ব্যক্তি হন এবং যদি আপনার প্রতিবন্ধী পরিচয়পত্র বা সুবর্ণ নাগরিক কার্ড থাকে তবে আপনিও এই সুবিধাটি গ্রহণ করতে পারবেন।
এখন কথা হল বাংলাদেশ সরকার রেল ভ্রমণে প্রতিবন্ধীদের কি ধরণের সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকে। বাংলাদেশ সরকার প্রতিবন্ধীদের রেল ভ্রমণে ৫০% মুল্যছাড় দিয়ে থাকে।
আপনাদের বোঝার সুবিধার্থে উদাহারণ দিয়ে বলছি। মনে করা যাক আপনি ঢাকা থেকে চট্রগাম যাবেন। ঢাকা থেকে চট্রগ্রামের সাধারণ ভাড়া যদি হয় ১০০ টাকা তবে আপনি প্রতিবন্ধী হবার কারণে আপনাকে দিতে হবে ৫০ টাকা।
যদি ষশোর থেকে ঢাকাতে যেতে চান, সাধারণ যাত্রিদের যদি ১০০ টাকা ভাড়া দিতে হয়, তাহলে আপনাকে দিতে হবে ৫০ টাকা। আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন। এভাবে আপনি হাফ ভাড়া দিয়ে সকল সরকারী ও বেসরকারী ট্রেনে সারা বাংলাদেশ ভ্রমণ করতে পারবেন।
কিভাবে অর্থেক ভাড়ায় কিটেক ক্রয় করবেন
আমরা যারা রেলে ভ্রমণ করি আমরা কম বেশি সকলেই জানি যে, অনলাইন থেকে টিকেট কেনা যায়। কিংবা রেল স্টেশনে গিয়ে টিকেট কাউন্টার থেকেও ট্রেনের টিকেট ক্রয় করা যায়। আপনি যদি হাফ ভাড়ায় টিকেট ক্রয় করতে চান তবে আপনাকে প্রথমে রেল স্টেশনে যেতে হবে।
যাবার সময় আপনার প্রতিবন্ধী পরিচয়পত্রের ফটোকপিটি সাথে নিয়ে যাবেন। রেল স্টেশনে গিয়ে খোজ করবেন প্রতিবন্ধীদের জন্য আলাদা কোন টিকেট কাউন্টার আছে কি না। যদি থাকে তবে প্রতিবন্ধীদের জন্য নির্ধারিত কাউন্টারে চলে যাবেন।
আর যদি প্রতিবন্ধীদের জন্য আলাদা কোন টিকেট কাউন্টার না থাকে। তবে সাধারণ টিকেট কাউন্টারে আসবেন।
এসে কাউন্টারে দায়িক্তরত ব্যক্তিকে জানাবেন আপনি একজন প্রতিবন্ধী। আপনি হাফ ভাড়ায় টিকেট ক্রয় করতে চান। তাকে আপনার প্রতিবন্ধী পরিচয়পত্রটি দিবেন, তিনি আপনার পরিচয়পত্রটি নিয়ে যাচাই বাছাই করে দেখবেন।
সব ঠিক থাকলে তিনি আপনাকে হাফ ভাড়ায় ট্রেনের টিকেট দিয়ে দেবেন।
টিকেট পাবার পর আপনি আপনার গন্তব্যে যাত্রা করতে পারবেন। অনলাইনের মাধ্যমে প্রতিবন্ধীদের জন্য নির্ধারিত হাফ ভাড়ায় টিকেট ক্রয় করা যায় না। হাফ ভাড়ায় টিকেট চাইলে অবশ্যই আপনাকে রেল স্টেশনের কাউন্টারে আসতে হবে।
ট্রেনে প্রতিবন্ধীদের জন্য সংরক্ষিত আসন
হাফ ভাড়ায় টিকেট ছাড়াও বাংলাদেশ সরকার প্রতিটি ট্রেন ও বাসে প্রতিবন্ধীদের জন্য আলাদা আসন সংরক্ষিত রাখে। আপনি যদি প্রতিবন্ধী ব্যক্তি হন এবং ট্রেনে ভ্রমণ করতে চান তবে ট্রেনে ওঠার পর প্রতিবন্ধীদের জন্য নির্ধারিত আসনটি খুজুন। যদি খুজে না পান তাহলে দায়িক্তরত টিটির সাহায্য গ্রহণ করতে পারেন।
আপনি টিটিকে বলবেন, আমি একজন প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ট্রেনে প্রতিবন্ধীদের জন্য নিদিষ্ট আসন থাকে আপনি আমাকে সেই আসনটি খুজে দিন। টিটি আপনাকে প্রতিবন্ধীদের জন্য নির্ধারিত আসনটি খুজে দেবেন।