গর্ভকালীন ভাতা পাওয়ার নিয়ম

প্রিয় পাঠক পাঠিকাবৃন্দ, প্রতিবন্ধী ইনফো ডট নেট এর পক্ষ থেকে একরাশ প্রিতি ও ভালবাসা গ্রহণ করবেন। আজ আমরা আলোচনা করতে চলেছি। গর্ভবতী ভাতা পাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে। বাংলাদেশ সরকার মা ও শিশুর আর্থীক নিরাপত্তা গর্ভবতী মায়েদের মাসিক ভাতা প্রদান করে।
আপনি যদি গর্ভবতী ভাতা পেতে চান তবে এই পোস্টটি আপনার জন্য অত্যান্ত গুরুত্বপুর্ণ। গর্ভবতী ভাতা কিভাবে পাওয়া যায়, কিংবা গর্ভবতী ভাতার পাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হল। আপনি যদি গর্ভবতী ভাতা পেতে চান তবে আপনাকে কি কি শর্ত পূরণ করতে হবে,
বয়স কত হতে হবে, কিভাবে আবেদন করতে হবে, আবেদন করতে কত টাকা ফি লাগবে ইত্যাদি। সকল তথ্যই জানতে পারবেন এই পোস্ট থেকে।
গর্ভকালীন ভাতা পাওয়ার নিয়ম
আপনি যদি গর্ভবতী ভাতা পেতে চান তবে আপনাকে প্রথমে গর্ভবতী হতে হবে। আপনি যদি গর্ভবতী না হয়ে গর্ভকালীন ভাতার জন্য আবেদন করতে চান, তবে আপনি গর্ভবতী ভাতার জন্য আবেদন করতে পারবেন না। আপনি যখন তিন মাসের গর্ভবতি হবেন তখন আপনি আপনার ইউনিয়ন পরিষদের তথ্য প্রযুক্তি উদ্যোক্তার কাছে গিয়ে গর্ভবতী ভাতার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
প্রতি মাসের ২১ তারিখ থেকে উক্ত মাসের শেষ তারিখ পর্যন্ত, গর্ভবতী ভাতার আবেদন করতে পারবেন। আপনি যদি পৌড় এলাকায় বসবাস করেন, তবে আপনার পৌড়সভার তথ্য প্রযুক্তি উদ্যোগক্তার কক্ষে গিয়ে গর্ভবতী ভাতার জন্য আবেদন করতে পারবেন। এক্ষেত্রেও আপনাকে কমপক্ষে তিন মাসের গর্ভবতী হতে হবে।
গর্ভবতী ভাতার জন্য আবেদন করতে ৪০ টাকা ফি প্রদান করতে হবে। আর যদি আপনি উপজেলা তথ্য আপার কাছে গিয়ে গর্ভবতী ভাতার জন্য আবেদন করেন, তবে আপনাকে কোন ফি প্রদান করতে হবে না। গর্ভকালীন ভাতার জন্য আবেদন করতে আবেদনকারীর বয়স কমপক্ষে ২০ বছর এবং সর্বচ্চ ৩৫ বছর হাতে পারবে।
আবেদনকারীর বয়স যদি ২০ এর কম হয় এবং ৩৫ এর বেশি হয়, তবে সে গর্ভবতী ভাতার জন্য আবেদন করতে পারবে না। গর্ভবতী ভাতার জন্য আবেদন করতে আবেদনকারী নারীর অব্যশই এনআইডি কার্ড থাকতে হবে।
যদি আপনি গর্ভবতী ভাতার জন্য আবেদন করতে চান, এবং আপনার এনআইডি না থাকে। শুধু জন্ম নিবন্ধন সনদ থাকে, তবে আপনি জন্ম নিবন্ধন সদন ব্যবহার করে আবেদন করতে পারবেন না।
আপনি যদি নিজে নিজে গর্ভবতী ভাতার জন্য আবেদন করতে চান। তবে বলে রাখি, আপনি চাইলেই নিজে নিজে গর্ভবতী ভাতার জন্য আবেদন করতে পারবেন না। গর্ভবতী ভাতার আবেদন করতে হলে, উপজেলা তথ্য আপার মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। অথবা ইউনিয় পরিষদ/পৌড়সভার তথ্য প্রযুক্তি উদ্যোগক্তার মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।
৪০ টাকা আবেদন ফি ছাড়া গর্ভবতী ভাতা করতে আর কোন টাকা পয়সা লাগে না। যদি কেউ আপনাকে বলে আপনি কিছু টাকা দিলে সে আপনাকে গর্ভবতী ভাতা কবে দেবে। তবে আপনি তার এ ফাদে পা দেবেন না। আপনি যদি গর্ভবতী ভাতা পাওয়ার নিয়ম মেনে আবেদন করেন। তবে আপনি এমনিতেই গর্ভবতী ভাতা পাবেন। তাই কাউকে টাকা পয়সা দিয়ে ভাতা করানোর কোন দরকার নেই।
গর্ভবতী ভাতার টাকা কিভাবে দেয়া হয়
গর্ভবতী ভাতার টাকা, মোবাইল ব্যংকিং সার্ভিস, বিকাশ ও নগদের মাধ্যমে প্রদান করা হয়। যদি আপনি গর্ভবতী ভাতার জন্য আবেদন করতে চান। তবে আপনার নিজের এনআইডি দিয়ে কেনা সিমে নিজের নামে বিকাশ ও নগদ এ্যকাউন্ট খুলে নেবেন। এই বিকাশ বা নগদ এ্যকাউন্টের মাধ্যমে আপনার গর্ভবতী ভাতার টাকা আসবে। তবে কিছু ক্ষেত্রে ব্যংকের মাধ্যমেও ভাতার টাকা দেয়া হয়।
আপনি চাইলে আপনার পরিবারের অন্য কোন সদস্য যেমন আপনার স্বামী, পিতা, মাতা বা ভাইয়ের বিকাশ বা নগদ এ্যকাউন্টেও গর্ভবতী ভাতার টাকা গ্রহণ করতে পারবেন। তবে নিজের নামে বিকাশ নগদ এ্যকাউন্ট খোলাই ভাল।
সর্বপরি এই ছিল গর্ভবতী ভাতা পাওয়ার নিয়ম সংক্রান্ত আলোচনা। যদি এই পোস্টের কোন পয়েন্ট আপনি বুঝতে না পারেন। তবে কমেন্ট করবেন, আমরা আপনার কমেন্টের জবার দেয়ার মাধ্যমে আপনার প্রশ্নের জবাব দেয়ার চেষ্টা করব।
প্রিয় পাঠক আপনি আর কোন বিষয়ে আমাদের কাছে জানতে চান তা অবশ্যই কমেন্ট করে জানান। আপনারা যে বিষয়ে জানতে চাইবেন, আমরা সে বিষয়ে পোস্ট পাবলিশ করার চেষ্টা করব।
প্রিয় পাঠক পাঠিকাবৃন্দ, সকলে ভাল থাকবেন, সুস্থ্য থাকবেন লেখাটি পড়ার জন্য সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।